পায়রা উড়ানো প্রতিযোগিতা বাঙ্গালীর কৃষ্টির অংশ হিসেবে  আনন্দধাম ধরে রাখবে- হাসিনা রহমান সিমু 

ডেইলি নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম: অদ্য আনন্দধাম ২১ নং ওয়ার্ড কমিটির পক্ষ থেকে পায়রা ওড়ানো প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান স্থানীয় শহীদ মিনার, বন্দরে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  আনন্দধামের নির্বাহী চেয়ারম্যান  হাসিনা রহমান সিমু।
আনন্দধাম ২১ নং  ওয়ার্ডের  সভাপতি জনাব মোঃ রুবেল সরকার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  আনন্দধামের অতিরিক্ত চেয়ারম্যান   জনাব মোঃ শাহ্ আলম ও জনাব মোঃ আজিজুল ইসলাম বাবু,  মহাসচিব আলহাজ্ব আবদুল মান্নান মিয়া।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন আনন্দধামের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মুক্তি।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন  আনন্দধামের যুগ্ম মহাসচিব শেখ জসীম,  যুগ্ম মহাসচিব বাবু বিশ্বজিৎ সাহা,  কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক পরিচালক  ও ১৩ নং ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি জনাব আব্দুল কাইয়ুম আল আমিন, কর্মসংস্থান পরিচালক  মো: মুজাহিদ, পরিচালক রাজা মিয়া, কেন্দ্রীয় কমিটির যুব পরিচালক ও ২২ নং ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি ব জনাব মোঃ সানিয়াত সানি, সিনিয়র সহঃ সভাপতি জনাব আবু যায়েদ প্রধান, ২১ নং ওয়ার্ড কমিটির সহঃ সভাপতি জনাব মোঃ শরিফ, সাধারণ সম্পাদক জনাব মোঃ মামুন হোসেন, ১৫ নং ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি জনাব মোঃ রায়হান আহাম্মেদ ভূইয়া, সহঃ সভাপতি জনাব মোঃ তানভীর আহাম্মেদ , আনন্দধাম ২১ এর উপদেষ্টা মোঃ আমানউল্লাহ আমান ও হাজী আলি আক্কস পিন্টু, সভাপতি সৌখিন গ্রুপ পিজন ক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ তারেক হক ও মোঃ নাহিম আলম  সহ স্থানীয়  গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে  হাসিনা রহমান সিমু বলেন, যোগাযোগের আদি যুগে কবুতরের পায়ে চিরকুট বেঁধে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে বার্তা পাঠানো হতো। পায়রা উড়ানো প্রতিযোগিতা বাঙ্গালীর কৃষ্টির অংশ হিসেবে  আনন্দধাম ধরে রাখবে। এক সময় ঢাকার নবাবদেরও বিনোদনের অনুষঙ্গ ছিল পায়রা ওড়ানো। পরবর্তী সময়ে ঢাকাসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের   অধিবাসীদের মধ্যেও কবুতর পালার শখ ছড়িয়ে পড়ে। তিনি বলেন বই পড়ে জানা যায়, চল্লিশের দশকেও ঢাকার মহল্লাগুলোতে পায়রা ওড়ানোর প্রতিযোগিতা হতো। বড় প্রতিযোগিতার সময় নারায়ণগঞ্জ থেকে পায়রা ছেড়ে তা পুরান ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হতো।
প্রধান অতিথি আরো বলেন এখন থেকে আনন্দধামের পক্ষ থেকে  প্রতি বসর এই পায়রা উড়ানোব প্রতিযোগিতার আয়োজন  করা হবে। আর এভাবেই আমরা আমাদের বাঙ্গালী জাতির পুরোনো ঐতিহ্য ধরে রাখতে চেষ্টা করবো।
এখানে উল্লেখ্য যে গত ২১শে ফেব্রুয়ারী কুমিল্লা হতে নারায়ণগঞ্জ মোট ৪১ কিলোমিটার দুরত্বের এই প্রতিযোগিতা আনন্দধাম ২১ নং ওয়ার্ডের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীরা কুমিল্লা হতে তাদের পায়রা নির্দারিত সময়ে উড়িয়ে দেয়, যার গন্তব্য ছিলো নারায়ণগঞ্জের বন্দর। যাদের কবুতর প্রথম এসে গন্তব্যে পৌছে তারা প্রথম স্থান অধিকার করে। এই প্রক্রিয়ায় পায়রা উড়ানো প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন মো: সালাম, দ্বিতীয় যুগ্মভাবে রুবেল সরকার ও আবদুল রাব্বি, তৃতীয় স্থান মো: ফারদিন, চতুর্থ স্থান মো: শরীফ মিয়া ও পঞ্চম স্থান যৌথভাবে ৪ জন অধিকার করেন, যথাক্রমে মো: কামাল, মো: শাহ আলম, মো: মাসুম ও মো: রিফাত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Pin It on Pinterest

Share This